বোলারদের দাপটের মধ্যে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন ট্র্যাভিস হেড। তার বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ম্যাচে হয়েছে একাধিক আরো রেকর্ড।
৬
প্রথম দুই দিনেই অ্যাশেজ টেস্ট শেষ হয়েছে ৬ বার। তবে একশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম। ১৯২১ সালে ট্রেন্টব্রিজে শেষবার এমন কিছু দেখা গিয়েছিল।
৮৪৭
পার্থ টেস্টে বল হয়েছে ৮৪৭টি। অ্যাশেজে বলের হিসাবে তৃতীয় সর্বনিম্ন এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে কম। আগের দুটি সবচেয়ে কম সময়ের টেস্ট হয়েছিল ১৮৮৮ সালে ইংল্যান্ডে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৭৮৮ বল ও লর্ডসে ৭৯২ বল।
৪০৫
ইংল্যান্ড দুই ইনিংসে ৪০৫ বল মোকাবিলা করেছে ইংল্যান্ড। ৩২.৫ ওভার হয়েছে প্রথম ইনিংসে এবং ৩৪.৪ ওভার হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। এটি তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন টেস্ট। ১৯০৪ সালে মেলবোর্নে ৩২৫ বল ও ১৮৮৮ সালে লর্ডসে ৩৮৮ বল খেলেছিল তারা।
৪
টেস্টে প্রথম তিন ইনিংসেই দুইশর কম রান হওয়ার পর চতুর্থ ইনিংসে দুইশর বেশি রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করার ঘটনা এনিয়ে চতুর্থবার ঘটল। এর আগে ১৯০৬ সালে জোহানেসবার্গে ও ২০০৮ সালে মিরপুরে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
৯
পার্থের দুই ভেন্যু ওয়াকা ও পার্থ স্টেডিয়াম মিলে ইংল্যান্ড এনিয়ে টানা নবমবার হারল। ১৯৯০/৯১ ও ২০১৭/১৮ মৌসুমের মধ্যে ওয়াকায় টানা আট হার দেখেছিল তারা, আর এবার হলো পার্থ স্টেডিয়ামে।
৬৯
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে যৌথভাবে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন হেড। ৬৯ বল খেলেছেন তিনি। এর আগে ২০১২ সালে ওয়াকায় ভারতের বিপক্ষে সমান বল খেলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
১২৩
একুশ শতকে কোনো অ্যাশেজ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ১২৩ রান করলেন হেড। এই শতাব্দিতে অ্যাশেজে চতুর্থ ইনিংসে অন্য দুটি সর্বোচ্চ রান ২০০৬ সালে অ্যালিস্টার কুক (১১৬) ও ২০১৩ সালে ক্রিস রজার্সের (১১৬)।
১০/১১৩
মিচেল স্টার্ক এই টেস্টে ১১৩ রান খরচায় ১০ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ২০০৫ সালে কেনিংটন ওভালে শেন ওয়ার্নের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে ১০ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে

